মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিন মরদেহ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে দুজনের ও বিকেলে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ উদ্ধার হয়েছে সাব্বির (৪০), শিশু মারোয়া আক্তার (৯) ও জান্নাতুল মাওয়ার (৬)। এ নিয়ে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এখনও নিখোঁজ রয়েছে দুই শিশু। এরা হচ্ছে গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের মফিজুলের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা (৩) ও রংপুরের কমাছপাড়া গ্রামের সাব্বিরের ছেলে ইমাদ (৭)।
গতকাল শনিবার সকালে জেলা সদরের রমজানবেগ এলাকা সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে মফিজুলের স্ত্রী নিখোঁজ সুমনা আক্তারের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ট্রলার ডুবিতে বিআইডব্লিউটিএ, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড ও কলাগাছিয়া নৌপুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপপরিচালক ওবায়দুল করিম জানান, আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলার গজারিয়া লঞ্চঘাটের অদূরে মেঘনাবক্ষে ভেসে উঠলে শিশু জান্নাতুল মাওয়ার মরদহে উদ্ধার করা হয়। জান্নাতুল মাওয়া ট্রলার ডুবিতে বেঁচে যাওয়া গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের মো. মফিজুলের মেয়ে। এর আগে সকাল ১০টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উপজেলার ষাটনল লঞ্চঘাটের মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় সাব্বিরের এবং সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদরের চরকেওয়ার ইউনিয়নের চরঝাপটা গ্রাম সংলগ্ন মেঘনাবক্ষে ভেসে উঠে শিশু মারোয়ার মরদেহ।
শিশু মারোয়া জেলার গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে। উদ্ধার হওয়া সাব্বিরের বাড়ি রংপুরের কমাছপাড়ায়।
গত শুক্রবার ছুটির দিনে স্বজনরা মিলে গজারিয়া থেকে মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী চরকিশোরগঞ্জে ট্রলারযোগে ঘুরতে যায় ১২ আত্মীয়। ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় ফেরার পথে গজারিয়া লঞ্চঘাটের অদূরে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। তাৎক্ষণিক ছয়জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ হয় ছয়জন। তাদের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার হলো।