স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। অর্থ আত্মসাতের মামলায় আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষ্যদাতারা হলেন—দুদকের সহকারী পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, দুদকের এএসআই মো. হারুনার রশিদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার হিসাব রক্ষক মো. কামরুল হাছান। এ নিয়ে মামলায় ১৩ সাক্ষীর মধ্যে নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
এর আগে, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচারক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক সম্পাদন এবং নমুনা পরীক্ষা বাবদ ও করোনা চিকিৎসায় খরচ বাবদ তিন কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় সাহেদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চার কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে আসামি করা হলেও সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের নাম আসামির তালিকায় ছিল না। পরে, অভিযোগপত্রে সাবেক মহাপরিচালকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন—রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।