কারাগারে থেকেও নাশকতার মামলায় আসামি যুবদলনেতা!
খাগড়াছড়িতে নাশকতার অভিযোগে আটক হয়ে কারাগারে যাওয়ার চার দিন পর যুবদল নেতা জহির খান আরিফ ওরফে আবিরকে আবারও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলায় আসামি করা হয়েছে। পরিবার ও জেলা যুবদলের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
জহির খান আরিফ ওরফে আবির জেলার পানছড়ি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের ফাতেমা নগরের বাসিন্দা।
পরিবার ও যুবদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, গত ৫ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়ার বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ ও যুবদল নেতা জহির খান আবিরসহ বিএনপি ও যুবদলের পাঁচ নেতাকে আটক করা হয়। অথচ, জহির খান আবিরকে গত ৮ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জিরো মাইল সংলগ্ন আলুটিলায় কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগে ৯ নভেম্বরের মামলায় আসামি করা হয়।
মাটিরাঙা থানায় মামলাটি করেন মাটিরাঙা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আলম পাটোয়ারী। মামলা নং জিআর-১৩১। এ মামলায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়াসহ ৮৩ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে কারাগারে আটক যুবদল নেতা জহির খান আরিফ ওরফে আবিরকে ৫৭ নম্বর আসামি করা হয়। কারাগারে আটক যুবদলনেতা কীভাবে রাস্তায় পিকেটিং করলেন এবং কারাগার থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সাপমারা এলাকায় গাড়িতে আগুন দিলেন? পরিবার ও দলের পক্ষথেকে এসব প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার বলেন, ‘৬ নভেম্বর করা পুলিশের নাশকতা মামলায় (মামলা নং-জিআর ১৬১/২৩) ১৮ নম্বর আসামি হিসেবে যুবদল নেতা জহির খান আরিফ এখনও কারাগারে রয়েছেন।’
এ বিষয়ে মাটিরাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়াবলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মামলায় তার (জহির খান আরিফ) নাম এসেছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে তার নাম বাদ দেওয়া হবে।’