দুধ দিয়ে গোসল করে প্রেম ও বিয়ে না করার শপথ
প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। তবে, সেই বিয়ে টেকেনি বেশিদিন। বিয়ের ১১ দিনের মাথায় প্রেমিকা থেকে স্ত্রী হওয়া ওই নারী তাকে ডিভোর্স দেন। আর এতেই ভেঙে পড়েন সেই প্রেমিক। এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করে জীবনে আর প্রেম ও বিয়ে না করার শপথ নিয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পরগলি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী প্রেমিক ইশান মাহমুদ শ্রাবণ সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও বন্ধুরা জানান, ছোট বেলা থেকে নানাবাড়ি মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পরগলি গ্রামে থেকে লেখাপড়া করতের শ্রাবণ। এসএসসি পাসের পর নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন ও নান্দিনা শেখ আনোয়ার হোসেন কলেজে ভর্তি হন। চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। বাড়ি ফিরে আসার পর একই গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে শ্রাবণের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় তিন বছর প্রেম করার পর চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর জামালপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিয়ে করেন তারা।
বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মেয়ের পরিবার শ্রাবণের বাড়িতে আসে। তবে, ছেলের আর্থিক অবস্থা দুর্বল হওয়ায় বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। একপর্যায়ে গত ৮ নভেম্বর শ্রাবণকে ডিভোর্স দেয় তার স্ত্রী। এতে করে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমতাবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে ফের নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। প্রেম ও বিয়েতে ব্যর্থ হয়ে শ্রাবণ সারাজীবন বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেজন্য শুক্রবার বিকেলে এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করে সারা জীবন প্রেমে জড়ানো এবং বিয়ে না করার শপথ নেন।
শ্রাবণ বলেন, ‘মাত্র ১১ দিন আমাদের বিয়ে বয়স। তারপর আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। এই ১১ দিনের স্মৃতি নিয়ে আমি সারাজীবন কাটিয়ে দিতে চাই। আমি চাই না, সে অসুখী থাকুক। তার ভালো ঘরে বিয়ে হোক। কিন্তু, নিজের ভুল শুধরে নিয়ে আমি আর প্রেম করব না। সারাজীবন বিয়ে না করে কাটিয়ে দিব।’
এই প্রেমিক আরও বলেন, ‘মানুষ প্রাক্তনকে কখনও ক্ষমা করে না। কিন্তু, আমি তাকে মাফ করে দিয়েছি। তার প্রতি আমার কোনো আক্ষেপ নেই। চাওয়া-পাওয়া নেই। সে ভালো থাকুক নিজের মতো করে। তাকে নিয়ে আমার ভাবার সময় নাই।’