নাটোরে বিএনপির দুই আহ্বায়ককে কারণ দর্শানোর নোটিশ
আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগ দেওয়ায় নাটোরের দুই সিনিয়র বিএনপিনেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে দলটি। গতকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ স্বক্ষরিত নোটিশে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
দুই বিএনপিনেতা হলেন সিংড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মজিবর রহমান মন্টু ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আলী আজগর খান।
নোটিশে বলা হয়েছে, বিএনপি বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে একদফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। ইতোমধ্যে লাগাতার হরতাল-অবরোধ চলছে। বিএনপিনেতা কর্মীরা হরতাল-অবরোধ সফল করার জন্য লড়াই সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ে। আওয়ামী লীগ ও পুলিশের জুলুম, নিপীড়ন, নির্যাতন, মিথ্যা গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ঠিক সেই সময় আন্দোলন সংগ্রামে সম্পৃক্ত না হয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়নে মতবিনিময় সভায় যোগদান করে দলের ভাবমূতি ক্ষুণ্ণ এবং দলীয় ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা হয়েছে। দলীয় ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের জন্য কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।‘
দলের পত্র বাহকের মাধ্যমে ওই দুই নেতাসহ আরও কয়েকজনকে এই নোটিশ পৌছে দেওয়া হয় বলে জানান উপজেলা বিএনপির সিনিয়র এক সদস্য।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কয়েকবার সিংড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান মন্টুর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।
অপর নেতা সিংড়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী আজগর খান জানান, প্রতিমন্ত্রী একজন আইনজীবী। আইনজীবী হিসেবে দাওয়াত পেয়ে তাঁরা প্রতিমন্ত্রীর বাসায় গিয়েছিলেন। সেটা যে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ছিল তা তাঁরা জানতেন না। সেখানে গিয়ে তারা পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। নোটিশের জবাব দেবেন বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র এই নেতা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সংগঠনের সঙ্গে সুপারিশ ও উপদেশ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করে আসছেন নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ নভেম্বর রাতে ওই মতবিনিময় সভায় সিংড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান মন্টু ও সিংড়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী আজগর খানসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা যোগ দেন। তাদের উপস্থিত থাকার বেশ কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয় জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে।