মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে দুই দফা হামলায় ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমদ টুলুর ছয় সমর্থক আহত হয়েছেন। এমন অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগে বলা হয়, আজ রোববার (২৪ ডি‌সেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে হৃদয় আহমেদকে (২৫) হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হৃদয় খালপার বয়রা এলাকার জাহিদ ঝিলুর ছেলে।

হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানও একই তথ্য জানান। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বতন্ত্রপ্রার্থীর একাধিক সমর্থক সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৪টার দিকে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বসে নির্বাচনি আলোচনা করতে ছিলেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর সমর্থক হৃদয় আহমেদ, অভি সূত্রধর ও মিঠুন সরকার। এ সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মমতাজের সমর্থক জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আবিদ হাসান বিপ্লব, হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা ক‌রা হয়। এ সময় তিনজনই আহত হন। এ সময় হৃদয় আহমেদ রক্তাক্ত যখম হলে তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এরপর সন্ধ্যায় একই এলাকায় মমতাজের সমর্থকদের একটি মিছিল উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হলে স্বতন্ত্রপ্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর সমর্থকদের উপর দ্বিতীয় দফার হামলা চালায়। এ সময় আরও তিনজন আহত হয়।

এসব হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আবিদ হাসান বিপ্লব। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে তাঁকে  নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন না করতে হুমকি দেন। এ ব্যাপারে তিনি সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এদিকে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থকদের ওপর মমতাজ বেগমের সমর্থকদের হামলার ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

হরিরামপুর থানার ওসি শাহ-নুর-এ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে হামলার নেপথ্যের কারণ কী, তা জানাতে পারেননি তিনি।