নৌকার প্রার্থীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আরও তিন মামলা
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই ও তাঁর আনুসারিদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আরও তিনটি মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত হাইয়ের বিরুদ্ধে তিনটিসহ মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শৈলকুপা থানায় করা হয়েছে দুটি মামলা। বাকিগুলো সংশ্লিষ্ট আমলি আদালতে করা হয়েছে। সব মামলার বাদী শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তায়জুল ইসলাম।
এ বিষয়ে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. রোকুনুজ্জামান জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশে ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইসহ আরও তিনজনের নামে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে ২০২৪ সালে শৈলকুপা থানায় প্রথম মামলা, যার নম্বর নাম্বার ০১/০১। এ মামলায় এক মাত্র আসামি করা হয়েছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইকে। অপর মামলা নম্বর ০২/০২। এ মালায় আসামি করা হয়েছে শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম, হাকিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইকু শিকদার ও শৈলকুপা উপজেলা যুবলীগনেতা শামিম হোসেন মোল্লাকে।
শৈলকুপা থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম চৌধুরী মামলা দুটি রেকর্ড করেছেন।
আজ বিকেলে আইনজীবী সাদাতুর রহমান হাদীর (অতিরিক্ত পিপি) মাধ্যমে শৈলকুপা আমলি আদালতে একই অভিযোগে আরও একটি মামলা করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
এ মামলায় আসামি করা হয়েছে নৌকার প্রার্থীর অনুসারি উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুলকে। নৌকার প্রতীকের এজেন্ট ব্যতীত অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে নিজ এলাকায় আয়োজিত এক জনসভায় প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
মামলার বাদী জানান, মামলায় আদালত এখনও আদেশ দেননি। তবে নম্বর পড়েছে।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর আমলি আদালতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) চিঠি পাঠিয়ে প্রার্থী আব্দুল হাই ও তাঁর আনুসারি শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম ও সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। আদালত ২৬ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন এবং ৩ জানুয়ারি বুধবার হাজির হতে নির্দেশ দেন।
নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও বিচারক ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মো. গোলাম নবীর তদন্ত প্রতিবেদেনের সুপারিশের আলোকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মোট পাঁচটি মামলা করা হলো।