স্বতন্ত্রপ্রার্থীর মাইক্রোবাস ভাঙচুর, যুবলীগনেতা আটক
গোপালগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জনসভায় প্রবেশে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় দুজন আহত। ভাঙচুর করা হয়েছে নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে সরকারি মুকসুদপুর কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে নৌকা প্রতীকের সমর্থক এক যুবলীগনেতাকে আটক করেছে র্যাব।
পুলিশ জানায়, আজ বিকেল ৩টায় সরকারি মুকসুদপুর কলেজ মাঠে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী কাবির মিয়ার পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনি জনসভা ছিল। সাড়ে ৩টার দিকে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করার কথা বলে মাঠে প্রবেশ করে। এতে দুই পক্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জনসভায় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উপজেলা যুবলীগনেতা আজিজুর রহমান উজ্জ্বলকে (৩২) আটক করে র্যাব। এ ঘটনায় শরিফুল ইসলামসহ দুজন আহত হয়।
এ দিকে আজ বিকেলে মুকসুদপুর পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একই সময়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. কাবির মিয়া ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান নির্বাচনি জনসভা ডাকেন। সংঘাত এড়াতে গতকাল বুধবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মাহবুবুল আলম ওই স্থানে আজ সকাল ৬টা থেকে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন।
পরে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. কাবির মিয়া মুকসুদপুর কলেজ মাঠে নির্বাচনি জনসভা করার জন্য রিটার্নিং অফিস থেকে অনুমতি নেন। এই খবরে মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রলীগ একই স্থানে একই সময়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে সকাল থেকে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
ভাটিয়াপাড়া র্যাব ক্যাম্প ৬-এর ইনচার্জ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. রাসেল বলেন, ঘটনার সময় আজিজুর রহমান উজ্জ্বল (৩২) নামে একজনকে আটক করে মুকসুদপুর থানায় হস্তান্তর করেছি।
মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীতলচন্দ্র পাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সময় র্যাব একজনকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।