বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী আজ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী আজ (১৯ জানুয়ারি)। ১৯৩৬ সালে বগুড়ার গাবতলীর ছায়া সুনিবিড় নিভৃত জনপদ বাগবাড়ির বনেদি মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন তিনি। ১৯৫৩ সালে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্বতন্ত্র সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জিয়াউর রহমান। তার নামেই গড়ে ওঠে জেড ফোর্স।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল।
জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক বার্তায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন এবং যুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। চরম হতাশায় দেশ যখন নিপতিত, জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়া যখন বাধাগ্রস্ত, ঠিক সেই সংকটের একপর্যায়ে জিয়াউর রহমান জনগণের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন।’
জাতির এক ক্রান্তিকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঐতিহাসিক যুগান্তকারী দায়িত্ব পালন করেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির আন্তর্জাতিক খেতাবপ্রাপ্ত হতে হয়, জাতির সেই চরম দুঃসময়ে ৭ নভেম্বর শহীদ জিয়া ক্ষমতার হাল ধরেন। ক্ষমতায় এসেই তিনি বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ জিয়ার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনেই আমাদের জাতিসত্ত্বার সঠিক স্বরূপটি ফুটে ওঠে, যা আমাদের ভৌগলিক জাতিসত্ত্বার সুনির্দিষ্ট পরিচয় দান করে। বিশ্বমানচিত্রে আমাদের আত্মপরিচয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।
রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখারও অবিনাশী দর্শন। শহীদ জিয়ার জন্মদিনে তাঁর প্রদর্শিত পথেই আমরা আধিপত্যবাদের থাবা থেকে মুক্ত হবো ও গণতন্ত্রকে নব্য বাকশালী বন্দিদশা থেকে ফিরে পাব। আর এজন্য সর্বশক্তি দিয়ে গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে স্বৈরাচারের কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নিহত হন। তাঁর জন্মবার্ষিকীতে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা; গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনা ও মানুষের হারানো মৌলিক ও মানবাধিকার পূনরুদ্ধার করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।