এবার দয়া করে নির্বাচনে অংশ নিন, বিএনপিকে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘সবই তো হলো, এবার দয়া করে আগামী যেকোনো নির্বাচনে অংশ নিন।’
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের মধুখালি পাইলট স্কুল মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল তাদের ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। কিন্তু সবাই দেখল নির্বাচন হলো। এরপর বলেছিল নির্বাচন হলেও বিদেশিরা স্বীকৃতি দিবে না। বিদেশিরাও স্বীকৃতি দিল। সবই তো হলো, এবার দয়া করে আগামী যেকোনো নির্বাচনে অংশ নিন। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কোনো অবস্থাতেই সামাজিক অপরাধ করবেন না। শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেক ষড়যন্ত্র আছে। নির্বাচনের আগেও ষড়যন্ত্র হয়েছে। নির্বাচনের পরেও ষড়যন্ত্র আছে। তবে যত ষড়যন্ত্র হয়েছে এ পর্যন্ত সব ষড়যন্ত্রেই শেখ হাসিনার বিজয় হয়েছে। কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন।’
‘বাংলাদেশ আজ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে’ উল্লেখ করে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্ব আজ এই দেশের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই দেশই হবে সৌদি আরব, এই দেশই হবে সিঙ্গাপুর।’
ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দিয়ে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নামেই ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। নেত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, যেকোনো উপায়ে ফরিদপুরে গ্যাস নিয়ে আসা হবে।’
‘মঞ্চে এসে আমাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দিতে হবে না। আমিই উল্টো আপনাদের বাড়ি ঘুরে ঘুরে সবার সাথে সাক্ষাৎ করে ফুল নিয়ে আসব’ মন্তব্য করে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রী যাবে স্কুল, কলেজে, হাটে-বাজারে সব জায়গায়। মন্ত্রী যাবে সাধারণ মানুষের কাছে।’
এ সময় মন্ত্রিত্ব পাওয়ার অভিব্যক্তি তুলে ধরে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘ভেবেছিলাম নেত্রী হয়তো এমন এক জায়গায় আমাকে দিবেন যেখানে থেকে আরও কিছু কাজ করার সময় পাব। এখন দেখলাম এমন জায়গায় এসেছি, এই জায়গায় তিতপুটি, ট্যাংরা নানা ধরনের কাজ।’
‘আমার জীবনে আর কিছু পাওয়ার পাওয়ার নেই। এই মধুখালিতে এর আগে কেউ মন্ত্রী হতে পারেননি’ উল্লেখ করে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ যাকে ইজ্জত, সম্মান দেন কেউ কেড়ে নিতে পারে না। আর যার ইজ্জত কেড়ে নেন কেউ তা ফিরিয়ে দিতে পারে না।’
নির্বাচনে বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা করে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষের উপর আমার দুঃখবোধ-কষ্টবোধ আছে। আমি ওদের কী ক্ষতি করলাম? তবু কিছু কথা থেকে যায়, আল্লাহ যেন আমাকে ওদের ক্ষমা করে দেওয়ার তৌফিক দেন। ন্যায়ের সংগ্রাম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনে জীবন দেব। তবু অন্যায়কে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেব না। এই মাটিকে কলুষমুক্ত করে যাওয়ার চেষ্টা করে যাব। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।’
মধুখালি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সহধর্মিণী বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শ্যামল ব্যানার্জি, আসাদুজ্জামান মিন্টু, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মনোজ কুমার সাহা, পান্না গ্রুপের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বকু।