চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নে রাবেয়া বেগম (৩২) নামে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উদ্ধার হওয়া মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় কুচয়া থানা পুলিশ।

এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

গতকাল বুধবার দিনগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের বাইছারা সিকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্বজনদের দাবি, রাবেয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত রাবেয়া উপজেলার খিলমেহের গ্রামের সেকান্দর মিয়ার মেয়ে। প্রায় ১৪ বছর আগে বাইছারা সিকদার বাড়িতে প্রবাসী এরশাদ উল্লার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সাংসরিক জীবনে তাদের ঘরে রাকিব হোসেন (১০), আবু রায়হান (৭) নামে দুই ছেলে ও সুমাইয়া আক্তার (৪) নামে এক মেয়ে রয়েছে।

নিহত রাবেয়ার বাবা সেকান্দর মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকে জামাই এরশাদ প্রবাসে কর্মরত। মেয়ে রাবেয়ার সঙ্গে জামাতা এরশাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। পারিবারিকভাবে তারা স্বচ্ছল থাকায় জামাইয়ের বাবা, ভাইবোনেরা টাকার জন্য বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। এ কথা রাবেয়া প্রায়ই আমাকে বলত।’

বাবা সেকান্দর মিয়ার দাবি, রাবেয়ার শ্বশুর রোস্তম আলী সিকদারসহ পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার মেয়েকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। এর আগেও রাবেয়ার ভাসুর, দেবর ও শ্বশুর তাঁর মেয়েকে নির্যাতন করেছে। গতকাল রাত দেড়টার সময় মেয়ের ভাসুর কামাল সিকদার ফোন দিয়ে রাবেয়া আত্মহত্যা করেছে বলে জানান। খবর পাওয়ার পর রাতেই তিনি ছুটে আসেন মেয়ের বাড়িতে। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

নিহত রাবেয়ার শ্বশুর রোস্তম আলী সিকদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কী কারণে রাবেয়া আত্মহত্যা করেছে আমাদের জানা নেই।’

নিহত রাবেয়ার স্বামী এরশাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাঁর স্ত্রীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ সময় স্ত্রী হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গতকাল রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ দুপুরে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর জানা যাবে।’