রাঙামাটির চেঙ্গী নদীর টিলায় সূর্যমুখীর হাসি
রাঙামাটির নানিয়ারচরের চেঙ্গী নদীর টিলায় ছয় বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের পরীক্ষামূলক চাষ করে সফল হয়েছেন উপজেলার শিপন চাকমা ও উষাময় চাকমা। ইতিমধ্যে দুই ভাইয়ের লাগানো সূর্যমুখী গাছে ফুল ধরতে শুরু করেছে। এক একটি সূর্যমুখী ফুল যেন হাসিমুখে সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে। চারদিকে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছে সে এক অপরূপ দৃশ্য। চেঙ্গী নদীর সৌন্দর্যের পাশাপাশি সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ দেখতে সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ ছুটে আসছেন এ সূর্যমুখী ফুলের বাগানে।
সূর্যমুখী বাগানের সফলতা নিয়ে শিপন চাকমা বাংলাদেশ বাসসকে জানান, কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছেন তারা। এ বছর চেঙ্গী নদীর টিলার বুকে ছয় বিঘা জমিতে পরীক্ষামুলকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেন। এতেই তারা অনেকটা সফল হয়েছেন। তাদের সূর্যমুখী বাগানের পরিধি ভবিষ্যতে আরও বাড়ানো হবে।
নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি অফিসের কৃষি কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব বলেন, ‘অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়াতে নানিয়ারচরে কৃষকরা এখন সূর্যমুখী চাষে বেশী আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শের পাশাপাশি রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের মাধ্যমে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার ও কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বিঘা জমিতে এক কেজি সূর্যমুখী বীজ দিতে হয়। দেড় ফুট অন্তর একটি করে বীজ বপন করতে হয়। একটি সারি থেকে আরেকটি সারির দূরত্ব রাখতে হয় দেড় ফুট। মাত্র ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে বীজ বপন থেকে শুরু করে বীজ উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতি একর জমিতে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা খরচ বাদ দিয়ে আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় প্রয়োজনীয় সেচেঁর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে সূর্যমুখী ফুলের উৎপাদন আরো অনেক বেশী বাড়ানো সম্ভব বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।’