বরিশালে বৈধ থ্রি-হুইলার ভাঙল অবৈধ চালকরা
কাগজপত্রবিহীন হলুদ ইজিবাইক শ্রমিকদের মিছিল থেকে বিআরটিএ লাইসেন্সপ্রাপ্ত দুটি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর ও চালকদের মারধরের অভিযোগে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে চালকরা।
আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল নগরের ফজলুল হক এভিনিউ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হামলায় জড়িত ইজিবাইক চালকদের মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া বাসদ নেত্রী ডা. মণীষা চক্রবর্তীসহ হামলাকারীদের বিচার দাবি করে সড়ক অবরোধকারীরা।
ভুক্তভোগী বিক্ষুব্ধ সিএনজি চালকরা মিছিল নিয়ে সদর রোড হয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দিতে যান। পরে পুলিশ বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। এর আগে বিআরটিএ থেকে লাইসেন্স প্রদান, ট্রাফিক পুলিশ দ্বারা মামলা দেওয়াসহ নানা হয়রানি বন্ধের দাবিতে নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে কাগজপত্র না থাকা হলুদ ইজিবাইক শ্রমিকরা। বিক্ষোভ শেষে মিছিল বের করে ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি নগরীর ফজলুল হক অ্যাভিনিউ সিটি করপোরেশনের ভবনের সামনে পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলের মিছিলে ঢুকে পড়া তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে মিছিল থেকে বের হয়ে শ্রমিকরা সেখানে অপেক্ষমান দুটি সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার ভাঙচুর ও চালকদের মারধর করে। প্রতিবাদে সিএনজিচালকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আরিচুল হক বলেন, সিএনজি চালকদের অভিযোগ শুনেছি। লিখিত পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হামলার ঘটনা অস্বীকার করে ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা ডা. মণীষা চক্রবর্তী বলেন, মিছিলে বহিরাগতরা ঢুকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম। নগর ভবনের সামনে পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে মিছিলের মধ্যে ঢুকে যায়। এসময় কিছু লোক মিছিলের মধ্যে ঢুকে সিএনজি ভাঙচুর করে। ঘটনাটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত।
মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করিম বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে ভাঙচুরের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।