যারা পণ্য মজুত করে দাম বাড়ায় তাদের গণধোলাই দেওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আগে ছিল, এখনো চলমান আছে। পণ্য মজুতের সাথে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা জড়িত রয়েছে। পণ্য মজুত করে যারা কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে দাম বাড়ায় তাদের গণধোলাই দেওয়া উচিত।
আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর শেখ হাসিনার এটিই প্রথম সংবাদ সম্মেলন।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের প্রতি যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ এবং স্যাংশন ও পাল্টা স্যাংশন বিশ্বের কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। এগুলো বন্ধ করার জন্য আমি বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ বছর আগে মানুষ ভাতের জন্য হাহাকার করতো। একটু ভাতের ফেন চাইতো। এখন আর সেটা নেই। এখন মানুষ ডিম ও দুধের কথা বলছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পণ্য মজুত করে যারা দাম বাড়ায় তাদের গণধোলাই দেওয়া উচিত। তারা পণ্যসামগ্রী মজুত করে পঁচিয়ে ফেলছে তারপরও বাজারে বিক্রি করছে না। এদের সঙ্গে সরকারবিরোধীদের যোগসাজস থাকতে পারে।’
সরকারবিরোধী তৎপরতার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলনে, ‘জাতির পিতাকেও ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। দেশে নির্বাচন যাতে না হয়, সে ষড়যন্ত্রও ছিল।’ দেশে নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে এখন দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়ে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলে সরকার উৎখাত করার ষড়যন্ত্র চলমান আছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম ও বেগম মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।