শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আত্মহননের প্ররোচণাকেন্দ্র বানিয়েছে আ.লীগ : এবি পার্টি
সরকার দলীয় সন্ত্রাসী ও সরকার সমর্থক কিছু শিক্ষকরা মিলে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সন্ত্রাস, মাদক, যৌন নিপীড়ন ও আত্মহননের প্ররোচনা কেন্দ্র বানিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহননসহ ক্যম্পাসে সংগঠিত সকল অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিচারেরও দাবি জানায় দলটি। মাসব্যাপী গণ-ইফতার কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনে আজ রোববার (১৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্ত্বরে এবি পার্টির এই সমাবেশ এ দাবি জানান বক্তারা।
সমাবেশ শেষে প্রায় সহস্রাধিক নাগরিক একসাথে বসে ইফতার গ্রহণ করে। সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে এমন এক লুটেরা বাজার সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে যারা প্রতিনিয়ত খাদ্য দ্রব্যের দাম বাড়িয়েহ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের অত্যাচারে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গুলোতে সাধারণ ছাত্রীরা সম্ভ্রম রক্ষা করে চলতে পারছেনা। কেউ কেউ কষ্টে ক্ষোভে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছে। সরকার সমর্থিত কতিপয় শিক্ষকরা এসব অপকর্মের নির্লজ্জ সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
এবি পার্টির সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার ফারুকের সঞ্চালনায় ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সভাপতিত্বে গণ-ইফতার সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক, জাতীয় সংসদে মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন নিজান।
বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজি, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া প্রমুখ।
গণ-ইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির অফিস সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব আহমদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, যুবপার্টি মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, রুনা হোসাইন, রিপন মাহমুদ, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সী, যাত্রাবাড়ী থানা আহ্বায়ক সিএমএইচ আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।