রাজধানীতে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে স্বস্তির বৃষ্টি
দেশের চার অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির কথা আজ মঙ্গলবার সকালেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই পূর্বাভাসই সত্যি হলো।
দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। পৌনে ৩টার দিকে শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। সঙ্গে ঝড়ো ও দমকা হাওয়া।
এতে গরমের মধ্যে রোজাদাররা স্বস্তি পেলেও ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। একই সঙ্গে রাজধানীর হকাররা তাদের মালামাল নিয়েও পড়েন বিপাকে।
কারওয়ান বাজারের হকার আউয়াল শেখ জানান, হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি আসায় আমার জিনিসপত্র সরাতে না সরাতেই ভিজে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। তারপর রোজার সময়। আবহাওয়াটা ঠান্ডা হওয়ায় ভালো লাগছে।
ফার্মগেটের পথচারী কাইয়ুম ফিরোজ জানান, হঠাৎ বৃষ্টিতে আটকে গেছি। বৃষ্টিতে ফার্মভিউ মার্কেটের সামনে দাঁড়ালেও যে ঝড়ো হাওয়া বইছে, তাতেই সম্পূর্ণ ভিজে গেছি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। রাঙ্গামাটি ও নীলফামারী জেলাসহ সীতাকুণ্ড অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা প্রশমিত হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আজ রাত ১টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।