বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত পাঁচজনের দাফন সম্পন্ন
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত দিনমজুর ফয়জুর রহমানসহ পরিবারে পাঁচ সদস্যের মরদেহ জানাজা শেষে নিজ এলাকায় পাশাপাশি পাঁচটি কবরে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি এলাকায় তাদের এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গতকাল সোমবার (২৫ মার্চ) সেহরির পর ঝড় শুরু হলে বিদ্যুৎ চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার বিদ্যুৎ চলে এলে বিকট শব্দে ঘরে আগুন লেগে যায়। এতে ঘরের মধ্যে পাঁচজন পুড়ে মারা যায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ি এলাকার ফয়জুর রহমান পেশায় একজন ঠেলাগাড়ির চালক। এর পাশাপাশি সংসারের প্রয়োজনে তিনি বাড়ির কাছে ইন্তাজ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরীর কাজ করতেন। পবিবারের ছয় সদস্য নিয়ে ওই টিনের ঘরে বসবাস করতেন তাঁরা। ঘরের উপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজের পল্লী বিদ্যুতের লাইন গেছে। সেহরির পরে ঝড়-বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে ঘরের চালে পড়লে আগুন লেগে যায়। এ সময় মৃত্যু হয় পরিবারের পাঁচ সদস্যের। গুরুতর আহত হয় তাদের এক শিশু।
ঘটনার পর পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান, জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশিকান্ত হাজংসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘরের ভেতরে থাকা ফয়জুর রহমান, স্ত্রী শিরিন বেগম, ১৬ বছরের বড় মেয়ে সামিয়া, ১৩ বছরের মেয়ে সাবিনা ও আট বছরের ছেলে সায়েম পুড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় ছয় বছরের মেয়ে সোনিয়াকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে জানান, নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে এলাকাবাসী জানাজা শেষে দাফন-কাপনের ব্যবস্থা করে।