সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীন উদ্ধার : র্যাব
সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন জানান, র্যাব বিভিন্ন প্রক্রিয়া কেএনএফের সঙ্গে মধ্যস্থতা করে তাঁকে উদ্ধার করে। এখন তাঁকে বান্দরবানে স্থানীয় র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তবে কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় এবং কোথা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে, সে বিষয়ে খন্দকার আল মঈন কিছুই জানাননি।
এর আগে আজ বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খন্দকার আল মঈন বলেন, বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজারকে ছাড়াতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।
খন্দকার আল মঈন বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে ব্যাংক ম্যানেজারকে অক্ষত ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। এজন্য নানান কৌশলে কাজ করছে র্যাব। ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার পরিবারের কথা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ আছেন। তার অবস্থান শনাক্তে কাজ করছে র্যাব।
নেজাম উদ্দিন সোনালী ব্যাংক রুমা উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁকে ব্যাংকের পাশে একটি মসজিদ থেকে ধরে নিয়ে যায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিনের অস্ত্রধারীরা। পরে তাঁকে নিয়ে ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ডাকাতির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে পরে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে যৌথ বাহিনী রুমায় তল্লাশি চালায়। সেনাবাহিনী, পুলিশের টহল জোরদার করা হয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রুমা শহরের সোনালী ব্যাংকে হানা দেয় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিনের অস্ত্রধারীরা। এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তা, নিরাপত্তারক্ষীসহ অন্তত ২০ জনকে মারধর করা হয়। অপহরণ করা হয় ওই শাখার ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। লুট করা হয় পুলিশ-আনসারের ১৪ অস্ত্র ও ৩২০ রাউন্ড গুলি।