যেসব গাড়ির ক্ষেত্রে দিতে হবে না অগ্রিম কর
মোটরযান নিবন্ধন ও ফিটনেস নবায়নের সময় সাত ধরনের গাড়ির ক্ষেত্রে দিতে হবে না অগ্রিম কর। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এরইমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আয়কর আইন-২০২৩ অনুসারে এ ধরনের গাড়িতে আগে থেকেই অগ্রিম কর প্রযোজ্য ছিল না। এনবিআর বিষয়টি আরও বিস্তারিত জানিয়ে স্পষ্টীকরণ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। কর দিতে হবে না এমন গাড়ির মধ্যে রয়েছে গেজেটেড যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার গাড়ি।
সম্প্রতি কোন কোন গাড়ির ক্ষেত্রে অগ্রিম কর প্রযোজ্য হবে না, তা এনবিআরের কাছে জানতে চায় বিআরটিএ। অগ্রিম কর দিতে হবে না এমন গাড়ির তালিকায় আছে, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ, সরকার বা স্থানীয় সরকারের অধীন কোনো প্রকল্প, কর্মসূচি বা কার্যক্রম, কোনো বৈদেশিক কূটনীতিক, বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘ ও অঙ্গসংগঠনের দপ্তর, বাংলাদেশে কার্যরত বিদেশি উন্নয়ন অংশীদার ও এর সংযুক্ত দপ্তর, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও গেজেটেড যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। অগ্রিম কর মওকুফের জন্য এসব গাড়ির মালিককে এনবিআর থেকে সনদ নিতে হবে না।
মুন্সীগঞ্জ সদরের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দফায় দফায় এই হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত সাতজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উভয় পক্ষের ছোড়া মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারীর অনুসারী বাহাদুর মিয়া ও ইউপি সদস্য ডলি বেগম গ্রুপের সঙ্গে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহসিনা হক কল্পনার অনুসারী বাবু কাজী, শওকত ও ইউপি সদস্য সুমা গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জেরে আজ সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়াতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে।
এ সময় গাবুয়াবাড়ি এলাকার বাবু কাজীর নেতৃত্বে বিয়ে বাড়িতে হামলা হয়। বাহাদুর পক্ষ ও বিয়ে বাড়ির লোকজনের দাবি, এ সময় বিয়ে বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর, নববধূর স্বর্ণালংকারসহ বাড়ি অন্যদের গহনা ও রান্না করা খাবার লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
একপর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উভয় পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা চলতে থাকে এবং ঢালীকান্দি, মুন্সীকান্দি ও উত্তর বেহেরকান্দিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় উভয় পক্ষ গুলিবর্ষণ করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত সাতজন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সিফাত (২০) ও ককটেল বিস্ফোরণে গুরুতর আহত আম্বিয়া খাতুনকে (৬০) মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্ডার খায়রুল হাসান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের উত্তেজনা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছে শুনেছি।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববিরোধের জেরেই এই সংঘাতের ঘটনা। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে পুলিশ, জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। বিয়ে বাড়িতে হামলা করে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে তবে এখানে কেউ আহত হয়নি।