নওগাঁর সাপাহারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তৌফিক রানা (১৮) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। আজ রোববার (১৯ মে) ভোরে সাপাহার উপজেলার টিঅ্যান্ডটিপাড়ার বাসা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তৌফিক রানা ওই এলাকার মোস্তফা হোসেনের ছেলে। এর আগে রাত ২টার দিকে ফেসবুক আইডি থেকে ‘পৃথিবী থেকে বিদায়, ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ এই লেখাটি পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তৌফিক রানা প্রতিদিনের মতো গতকাল শনিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ রাত ২টার দিকে ফেসবুক আইডি থেকে তাঁর স্টোরিতে এই পোস্ট দেন এবং কিছু বন্ধুদের ম্যাসেঞ্জারেও কথাগুলো পাঠান। এরই মধ্যে রাতের কোনো এক সময় নিজ শয়ন ঘরের ভিতরে ওড়না বেঁধে  গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহত রানার বাবা মোস্তফা হোসেন জানান, আজ ভোর ৫টার দিকে তৌফিকের মা ঘুম থেকে উঠে দেখে ছেলের ঘরের দরজা খোলা। এত সকালে দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ঘরের দিকে এগিয়ে গেলে ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং থানায় খবর দেয়।

রানার বাবা বলেন, ‘আমার দুই ছেলে এক মেয়ে। তার মধ্যে তৌফিক সবার ছোট। প্রায় আট মাস আগে শিবগঞ্জ থানা এলাকায় ছেলেকে বিয়ে দিয়েছিলাম। নতুন বউ আমার বাড়িতে এসে এক মাস সংসার না করতেই আর সংসার করবে না বলে তার বাবার বাড়ি চলে যায়।’

এ বিষয়ে সাপাহার  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেবের সঙ্গে কথা হলে তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানান।

এদিকে এর আগে ১৭ মে শুক্রবার তৌফিক তার ফেসবুকে পোস্ট দেয় ‘নেশা আমিও একটা ভদ্র সমাজ থেকে বড় হয়েছিলাম, ঠিক সবার মতো আমার সমাজেও আমাকে নিয়ে অনেকে স্বপ্ন দেখত, কিন্তু বাজান সময়ের পরিবর্তে আমার জীবনে এমন কিছু মানুষ এসেছিল, যারা আমার জীবিত দেহ থেকেই আমার আত্মটাকে কেড়ে নিয়েছিল, ঠিক তার জন্যই আজ আমি নেশার জগতের বাসিন্দা।’