খাগড়াছড়িতে বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপন
খাগড়াছড়িতে যথাযথ ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বৈশাখী তথা বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে। আজ বুধবার (২২ মে) দিনটি উদযাপন উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নর-নারী খাগড়াছড়িতে য়ংড বৌদ্ধ বিহার, ধর্মপুরআর্য বনবিহার, জনবল বৌদ্ধ বিহারসহ জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সমবেত প্রার্থনা, বুদ্ধ পূজা, প্রদীপ প্রজ্বালন, পঞ্চশীল প্রার্থনা, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধ মূর্তি দান, ভিক্ষুদের উদ্দেশে সংঘ দান, কল্পতরু দান, হাজার প্রদীপ দান, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চীবর দান, পিণ্ড দানসহ নানাবিধ দান করা হয়।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। বৌদ্ধ ধর্মমতে, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতমবুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর (বৈশাখীপূর্ণিমা) অপরনাম বুদ্ধপূর্ণিমা।
শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা উপলক্ষে শহরের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী য়ংড বৌদ্ধ বিহারে সমবেত প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। সেখানে দেশ, জাতি তথা সব প্রাণীর সুখ ও মঙ্গল কামনা করা হয়। এ সময় দায়ক-দায়িকাদের পঞ্চশীল প্রার্থনা ও ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন য়ংড বৌদ্ধ বিহারে অধ্যক্ষ ভদন্ত ক্ষেমাসারা স্থবির।
বৈশাখ মাসের এ পূর্ণিমায় মহামানব বুদ্ধের জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে গৌতমবুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন, ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই দিনে তিনি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন এবং ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই দিনে তিনি মহা পরিনির্বাণ লাভ করেন। সিদ্ধার্থের বুদ্ধত্ব লাভের মধ্যদিয়েই জগতে বৌদ্ধ ধর্ম প্রবর্তিত হয়।
খাগড়াছড়ি জেলায় প্রায় সহস্রাধিক বৌদ্ধ বিহারে দিনভর বিভিন্ন আয়োজনে পালন করা হয় দিনটি।