নীলফামারীতে ঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৩০০ পরিবারের বসতবাড়ি
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ৩০০ পরিবারের ঘরবাড়ি। খোলা আকাশের নিচে বাস করছে পরিবারগুলো। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়।
ঝড়ের দাপটে টিনের চাল উড়ে গেছে, গাছচাপা পড়ে আহত হয়েছে চারজন। উপরে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটিও।
ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের বাইশপুকুর, ছোট খাতা, কাকিনা এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যায় এ ঝড়।
বাইশপুকুর গ্রামের বাদশা আলমগীর জানান, ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে অনেক আধাপাকা ঘর। টিনশেড ঘরের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। অনেকে পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
ছোটখাতা এলাকার আমিনুর রহমান বলেন, রাত থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। বেশকিছু গাছ উপড়ে বিদ্যুৎতের খুঁটির উপরে পড়েছে।
দক্ষিণ ছোটখাতা এলাকার হামিদুল, ইমদাদুল, মনির, হৃদয়সহ অনেকেই বলেন, রাতে বৃষ্টি হলেও সকাল সাড়ে ৯টায় পর হঠাৎ প্রবল বেগে ১০ মিনিটের মতো ঝড়ো হাওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়।
খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুজ্জামান সরকার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩০০ কাঁচা ঘরবাড়ি। এ সময় গাছচাপা পড়ে আহত হয়েছে চারজন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নামের তালিকা সংগ্রহের কাজ চলছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, নাউতারা ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নে ঝড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্তের খবর পেয়েছি। চেয়ারম্যান-মেম্বার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ বলা সম্ভব হচ্ছে না ।
জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার। পাশাপাশি প্রায় ৩০ মিনিটের মতো বৃষ্টি হয়। মোট বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ২১ মিলিমিটার।