দ্বিতীয় দিনেও সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হয়নি চামড়া
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও পশুর চামড়াবোঝাই ট্রাক প্রবেশ বেড়েছে সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে। তবে দ্বিতীয় দিনেও সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া বিক্রি করতে দেখা যায়নি কোথাও। ট্যানারিগুলো ঘুরে দেখা গেছে, চামড়া প্রক্রিয়াজাত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
নিয়মিত শ্রমিকদের পাশাপাশি বাড়তি চাপ মোকাবিলার জন্য মৌসুমি শ্রমিকদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। বরাবরের মতো এবারও মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপট কমিয়ে সরাসরি কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করতে দেখা গেছে ট্যানারি মালিকদের। এবার ঢাকার মধ্যে প্রতি বর্গফুট কোরবানির গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা আর ঢাকার বাইরে নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা। একই সঙ্গে ঢাকায় প্রতিটি গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার টাকা। তবে দ্বিতীয় দিনেও সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া বিক্রি করতে দেখা যায়নি কোথাও।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত জানিয়েছেন, চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে যে খরচ হয় সেটা বাদ দিয়েই মূল্য ধার্য করে তারা চামড়া সংগ্রহ করছেন।
তবে চামড়ার দাম নিয়ে নিজেদের হতাশার কথা জানিয়েছেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীসহ সংগ্রহকারী বিভিন্ন মাদ্রাসার আলেম-ওলামারা। তার সঙ্গে পথে পথে চামড়াবাহী ট্রাক পিকআপে চাঁদাবাজির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।