কোরবানির পশু বিক্রির ৬ লাখ টাকা লুট, ১০ ডাকাত গ্রেপ্তার
কোরবানির পশু বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে লুট হয়ে যায় বেপারীদের ছয় লাখের বেশি টাকা। এই ঘটনায় ১০ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দার উত্তরা বিভাগ। আজ রোববার (২৩ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ১৫ জুন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী মো. লোকমান এবং তার সঙ্গে আরও চারজন ঢাকায় কোরবানির পশুর হাটে গরু বিক্রি করে জামালপুর যাওয়ার বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সিভিল এভিয়েশন হেডকোয়াটার্সের পূর্ব পাশে একটি নীল-হলুদ রংয়ের বাস জামালপুর যাওয়ার কথা বললে লোকমানসহ সবাই সেই বাসে ওঠে। বাসে ওঠার পর হেলপার বাসের গেইট বন্ধ করে দেয়। বাস কিছুদূর যাওয়ার পর হেলপার ভাড়া চাইলে লোকমান বলে জামালপুর যাব, পরে ভাড়া দেই। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বাসের হেলপার লোকমানের শার্টের কলার ধরে। অন্য যাত্রীরা তাকে লাথি ও ঘুষি মেরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে চাকুর ভয় দেখিয়ে গরু বিক্রির ছয় লাখ ৮০০ টাকা ও পাঁচটি মোবাইল কেড়ে নেয়।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, পরে ডাকাত দল লোকমানের সঙ্গীদের কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে খিলক্ষেত থানার বিশ্বরোডে ফ্লাইওভারের নিচে নামিয়ে দেয়। আর লোকমানের গলায় গামছা ও চোখ বেঁধে অন্যত্র নামিয়ে দেয়। এ ঘটনায় লোকমান ডিএমপির বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। তিনি আরও বলেন, মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর হলে গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগের বিমানবন্দর জোনাল টিম তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। গতকাল শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার নাবিস্কো এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ফয়সাল, তারেক, তানভীর, রতন, রুবেল ও সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা, ১৩টি মোবাইল ফোন, দুইটি চাকু, প্লাস্টিকের রশি এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বাসটি জব্দ করা হয়।
হারুন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওদিন রাতেই ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার চরপাড়া মোড়ে অভিযান চালিয়ে মিলন, জাবেদ ইকবাল, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে এক লাখ ৬৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
প্রাথামিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও বলেন, সম্প্রতি এই ডাকাত দল রাজধানীতে ১০ থেকে ১২টি ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। বিমানবন্দর থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।