বাস শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীছড়িতে অর্ধদিবস হরতাল পালিত
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট বাজারে আঞ্চলিক দুটি সংগঠনের গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শান্তি পরিবহণের সুপারভাইজার মো. নাঈম হোসেন (২৮) নিহতের প্রতিবাদে খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বতঃস্ফুর্তভাবে সর্বাত্মক আধাবেলা হরতাল পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।
জানা গেছে, হরতালের সময় পিকেটারদের কঠোর অবস্থানের কারণে কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। দোকানপাট খোলেনি। কেউ কেউ সকালের শুরুতে দোকান খুলতে চাইলেও হরতাল সমর্থকরা উপস্থিত হলে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যায় দোকানিরা। প্রয়োজনের তাগিদে সাধারণ মানুষ বের হলেও যানবাহন না থাকায় পায়ে হেঁটে বাজার কিংবা অফিস-আদালতে যেতে দেখা গেছে লোকজনকে।
ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দূর-দূরান্ত থকে আসা যাত্রীরা আটকা পড়েছে লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি সীমান্ত এলাকার মগাইছড়িতে। হরতালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি। যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছিল।
লক্ষ্মীছড়ি থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন জানান, শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল শেষ হয়েছে। পুরো এলাকায় পুলিশ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের বাঘাইহাট বাজারে উপজাতীয় সন্ত্রাসী দু’পক্ষের গোলাগুলিতে নাঈম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয় আরও দুইজন। নাঈমের বাড়ি লক্ষ্মীছড়ির জুর্গাছড়ি এলাকায়। চার বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে নাঈম সবার ছোট। নাঈমের অন্তঃসত্তা স্ত্রী রয়েছে।
গতকাল বুধবার খাগড়াছড়িতে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ লক্ষ্মীছড়িতে নিয়ে আসলে জানাজা শেষে থানা মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়। সে সময় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে নাঈম হত্যার বিচার দাবি করে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।