জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামি চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে নাজিম হত্যা মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

আজ সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই আদেশ দেন। এদিন আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। 

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম ছরোয়ার জাকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ মামলায় বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন। 

ছরোয়ার জাকির বলেন, বিচার শুরু হওয়া অপর তিন আসামি হলেন, রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে রায়হান, মো. শেখ আব্দুল্লাহ ও আকরাম হোসেন। এছাড়া অব্যাহতি পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান, ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহের ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ।

মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। একইসঙ্গে পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পলাতক পাঁচ জনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।