রাসেলস ভাইপারকে লাথি, দংশনের শিকার যুবক হাসপাতালে
শরীয়তপুরের নড়িয়াতে রাসেলস ভাইপারকে লাথি দিতে গিয়ে দংশনের শিকার হয়েছেন সন্দেহ ইব্রাহিম (৪০) নামে এক যুবকের। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে আছেন। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কনক জ্যৌতি মণ্ডল।
ইব্রাহিম চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার মো. মুকলেসের ছেলে। তিনি পেশায় মাহিন্দ্রচালক।
ভুক্তভোগী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ইব্রাহিম নামের ওই যুবক চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় কাজের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন। গতকাল সোমবার রাতে মালিকের বাসায় খাবার খেয়ে নড়িয়া ব্রিজ এলাকায় নদীর পাড়ে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। এ সময় তিনি একটি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করেন। পরে সাপটিকে লাথি দিতে গেলে তার পায়ে দংশন করে সাপটি। এ সময় তিনি পাশে থাকা একটি ইট দিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন এবং দ্রুত মোটরসাইকেলে করে জেলা সদর হাসপাতালে চলে আসেন। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁর শরীরে বিষ প্রবেশ করেনি বলে জানান। তবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ইব্রাহিম নামের ওই যুবক বলেন, ‘সাপটি রাসেল ভাইপারের বাচ্চা ছিল। আমি তাই পা দিয়ে সাপটিকে মারতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটি হঠাৎ করেই আমার পায়ে কামড় বসিয়ে দেয়। পরে আমি গেঞ্জি খুলে বাঁধ দিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসি। ডাক্তার রক্ত পরীক্ষা করে বলেন, আমার শরীরে বিষ প্রবেশ করতে পারেনি।’
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কনক জ্যৌতি মণ্ডল বলেন, ‘ওনাকে সাপে কাটার আধা ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে চলে আসেন। পরে মোবাইল ফোনে একটি ছবি দেখালে বুঝতে পারি সাপটি রাসেলস ভাইপার ছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার রক্তে কোনো বিষ পাইনি। তাকে আপাতত অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।’