বাংলাদেশে ভারতের রেল চলতে দেওয়া হবে না : জয়নুল আবদিন ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনমত উপেক্ষা করে বিনাভোটে ভারতের আশীর্বাদ নিয়ে ক্ষমতায় আছে। আর এখন ভারতের সব আবদার একে একে পূরণ করে চলেছে শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে করিডোর বানিয়ে ভারতের রেল চলতে কখনও দেওয়া হবে। একই সঙ্গে মোংলা বন্দরে ভারতের জাহাজ ভিড়তে দেওয়া হবে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশে জয়নুল আবদিন ফারুক এসব কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, অবৈধ এ সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনকে ভয় পায় বলেই মিথ্যা মামলায় বেআইনি রায় দিয়ে আটক করে রেখেছে। সরকার এখন আতঙ্কে ভুগছে। ভারতের পদলেহন করে গদি রক্ষা করতে চায়।
সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও বক্তব্য দেন। নয়াপল্টনের এ সমাবেশে সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি আছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে সকালে বৃষ্টির মধ্যেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছয়টি পিকআপ ভ্যানে অস্থায়ীভাবে সমাবেশের মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়। টাঙানো হয় ব্যানার। মূল মঞ্চ তৈরির পাশাপাশি নয়াপল্টন থেকে শুরু করে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত এবং অন্য পাশে কাকরাইল থেকে কর্ণফুলী মার্কেট পর্যন্ত লাগানো হয় মাইক। সকাল থেকেই ঢাকা মহানগরের পাশাপাশি আশপাশের জেলা ও মহানগর থেকে মিছিলসহ সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
উপস্থিত রয়েছেন—বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবেদিন ফারুক, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, অধ্যক্ষ সেলিম ভুইঁয়া, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, আকরামুল হাসান মিন্টু, নিপুণ রায় চৌধুরী, ফজলুর রহমান খোকন, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ ও যুবদলনেতা গিয়াস উদ্দিন মামুনসহ অন্যান্যরা।