খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে : মজনু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেছেন, খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে জনবিচ্ছিন্ন সরকার ভয় পায়। এ জন্যই তার ওপর এত জুলুম নির্যাতন নেমে এসেছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সাহসের বাতিঘর। তাকে মুক্ত করে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের প্রতিহিংসাপরায়ণ আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠায়। শুধু ফরমায়েশি সাজা দিয়ে তাকে আটক রাখা হয়নি, তার প্রাপ্য জামিনের অধিকার কেড়ে নিয়ে ২৫ মাস অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি রেখেছিল। কারাগারে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শর্ত সাপেক্ষে সরকার তার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকেরা তাকে বিদেশের বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সুপারিশ করলেও, সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়নি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া জনগণের কল্যাণে, অধিকার আদায়ে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নিরন্তরভাবে লড়াই করে চলেছেন। তার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই ৯০ দশকে স্বৈরাচারের পতন হয় এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের নবযাত্রা শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে জনগণের বিপুল রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে তিনি স্বৈরাচারের ধ্বংসস্তূপের ওপর আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রা শুরু করেছিলেন।’
দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মজনু বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়াকে বন্দী করার পর দেশের গণতন্ত্রকে বন্দী করে রেখেছে। আজকে দেশের জনগণের কাছে খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র আজ যেন সমার্থক। বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে। তাই জনগণ আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে অবতীর্ণ। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই দেশের গণতন্ত্র অচিরেই প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, হারুন উর রশিদ, লিটন মাহমুদ, সিকান্দার কাদির, হাজী মনির হোসেন, সাবেক সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বে সাইদুর রহমান মিন্টু, ফরিদউদ্দিন, গোলাম হোসেন, অ্যাডভোকেট ফারুকুল ইসলাম, মকবুল ইসলাম টিপু, এম এ হান্নান, আনোয়ার পারভেজ বাদল, লতিফুল্লাহ জাফরু, অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন, শেখ মোহাম্মদ আলী চায়না, জামিলুর রহমান নয়ন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, শামসুল হুদা কাজল, ফজলে রুবায়েত পাপ্পু, আরিফা সুলতানা রুমা, সাইফুল্লাহ খালেদ রাজন, আবুল খায়ের লিটন, নাসরিন রশিদ পুতুল, নাদিয়া পাঠান পাপন, হাজী মোহাম্মদ নাজিম, জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী, জামসেদুল আলম শ্যামলসহ থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ।