রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে : মির্জা আব্বাস
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আমি বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি। আমরা কদিন পর পর দোয়া করছি। হ্যাঁ, দোয়া একটি ভালো বিষয়। তবে, দোয়া মাহফিল রাজনীতির অংশ নয়। ধর্মীয় অংশ হিসেবে আমরা দোয়া করব। আর দোয়ার সঙ্গে দাওয়াইও লাগবে। সেজন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে ধর্মীয় অংশের বাইরে রাজনৈতিক অংশ হিসেবে দাওয়াইও লাগবে। কারণ রাজনৈতিক দাওয়াবিহীন খালেদা জিয়া মুক্ত হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বাদ আসর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এক দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়া যতবারই ক্ষমতায় এসেছেন ততবারই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যুবদলের একটি ভালো ভূমিকা ছিল। ওই সময় আমি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকত উল্লাহ বুলু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। আমাদের সফলতা ছিল এটুকু যে, সবসময় একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে কাজ করেছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন আমাদের প্রত্যাশা হলো, এখনকার যুবদলের একটা বিশাল পরীক্ষা হবে যে, তারা এই দলকে ক্ষমতায় কতদূর নিয়ে যেতে পারবে? এমনকি, এই দেশের গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হলো আমাদের লক্ষ্য। সবার আগে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এরপর আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এখন নতুন নতুন কমিটি হচ্ছে।
যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে শরিক হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীন, উত্তর বিএনপির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের নতুন সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম পল, ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল, মহানগর উত্তর যুবদলের আহবায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল, সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এম এ গাফ্ফার, সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নসহ যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের এবং বিগত কেন্দ্রীয় কমিটির অসংখ্য নেতাকর্মী। শেষে দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দলের সদস্যসচিব মাওলানা আবুল হোসেন।