কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় নিহত রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাঈদের মা-বাবার হাতে সাড়ে সাত লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ভিসি (উপাচার্য) স্যারের নির্দেশে সাঈদের বাবা-মায়ের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে আজকে সাড়ে সাত লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে।’

নিহত আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে আরেকদিন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন কয়েকজন। সে সময় ভিসি স্যার আমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। আমাদের খোঁজ নেন। আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। আমি স্যারকে বলেছিলাম, আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন।’

প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ না কেউ খোঁজ রাখছেন। এ ছাড়াও পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই সহায়তা করছেন বলেও জানান মকবুল হোসেন।

আবু সাঈদের বাবা বলেন, ‘আমার কলিজার টুকরা আবু সাঈদ। তার প্রাইভেট পড়ানোর (টিউশনের) জমানো টাকায় চলতাম আমরা। সন্তান হারিয়েছি, এ শোকের সান্ত্বনা নেই। পিতা হয়ে সবচেয়ে ভারী কাজ হলো সন্তানের লাশ কাঁধে নেওয়া।’

গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাইদ।