ঘনীভূত হয়েছে লঘুচাপ, সারা দেশে বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা
উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় দেশের সব বিভাগের বজ্রসহ মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বাড়তি অংশ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তাপমাত্রার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।
লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।