কারফিউ না দিলে গণভবন দখলের টার্গেট ছিল : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কারফিউ জারি না হলে গণ–অভ্যুত্থান ঘটিয়ে শ্রীলঙ্কা স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি (গণভবন) দখল করার টার্গেটও ওই রাতে ছিল।’
আজ রোববার (২৮ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
দেশে কারফিউ জারির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা আক্রান্ত, আক্রমণকারী নন। ক্ষমতার জন্য ওরা (বিএনপি) মরিয়া হয়ে উঠেছে। লন্ডনে পলাতক এক আসামি (তারেক রহমান) ওই রাতে প্রধানমন্ত্রীর বাড়িও দখলের টার্গেট করেছিল। হাওয়া ভবনের যুবরাজ ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করেছিল ওই রাতে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিদেশ থেকে এখন অনেকেই বিবৃতি দিচ্ছেন। অনেক সংস্থা, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও আছেন। কারা সমন্বয় করছেন আমরা জানি। তাঁদেরকে বলব, কারও প্ররোচনায় বিবৃতি না দিয়ে এখানে এসে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিআরটিএর ধ্বংসলীলা দেখুন। বিআরটিসির ৪৪টি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, তা দেখুন। সাংবাদিক বন্ধুরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। বিবৃতি–যুদ্ধ চলছে দেশে-বিদেশে। যেখানে ওয়ান–ইলেভেনের কুশীলব ড. ইউনূসও যোগ দিয়েছেন।’
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তীব্র সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতে যিনি রাজনৈতিক দল খুলে ওয়ান–ইলেভেনে সাড়া পাননি, যাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলমান, যিনি পদ্মা সেতু নির্মাণে বিরোধিতা করেছেন, তিনি আবার সক্রিয়। আগে গোপনে করেছেন। এবার তিনিও এসেছেন।’
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি করে ডাল ও লবণ এবং ১ লিটার তেল দেওয়া হয়।