জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিন্ধান্তের মাধ্যমে সরকার কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুটাকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার অপকৌশল করছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের সরকার নেই। দেশের একটি অরাজনৈতিক সরকার পরিচালিত হচ্ছে, বর্তমান অবস্থা দেখে তাই মনে হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগ ৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করেছিল। যারা স্বৈরাচারী, ডিকটেটর তাদের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। জনগণের দায়িত্ব—কোনটা গ্রহণ করবে, কোনটা করবে না। তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণহত্যার দায় শিকার করে সরকারকে চলে যেতে হবে। নতুন নির্বাচন করে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। কৌশল করে তারা ক্ষমতায় এসেছে।
জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত কমিশন গঠন নিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের বক্তব্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের ঘটনার তদন্তে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ থাকা উচিত। সান্ধ্য আইন তুলে নেওয়া উচিত, সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে। কারফিউ তুলে নিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে ডিবি অফিসের নাটক সবাই দেখেছে। এমনটা ইতিপূর্বে আমরা দেখেনি। তাদের দেখে বোঝা যায়, চাপ প্রয়োগ করে বক্তব্য দেওয়ানো হয়েছে। ডিবি নাটক তামাশা করে জাতির সঙ্গে মশকরা করেছে হাইকোর্টও এই কথা বলেছে।