সেতু ভবনে হামলায় বিএনপিনেতা রিজভীসহ ছয়জন রিমান্ডে
রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে হামলা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ছয় জনের তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী এই আদেশ দেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া আসামিদের হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক তিন দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো. আমিনুল হক, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ সালাম।
এর আগে, গত ২৮ জুলাই কাফরুল থানার কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে নাশকতার মামলায় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ আট জনের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। তবে আজ নুর ও মাহমুদুস সালেহিন বাদে অন্য আসামিদের বনানী থানার মামলায় রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। গত ১৮ জুলাই সেতু ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সেতু ভবনের কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা করেন। সেতু ভবনের ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী।
এজাহার থেকে জানা গেছে, ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসের কাজ করতে থাকেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে তারা ভবনে হামলা, ভাঙচুর করে। সেতু ভবনের পার্কিংয়ে থাকা ৩২টি জিপ গাড়ি, নয়টি পিকআপ, সাতটি মাইক্রোবাস, একটি মিনিবাস, পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেয়। এতে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি করে।