গাজীপুরে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে নিহত ১, আহত ১৭
গাজীপুরের শ্রীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা আজ শনিবার (৩ জুলাই) বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে। এ সময় পুলিশের তিনটি পিকআপ ভ্যানসহ মাওনা হাইওয়ে থানার দুটি পুলিশ বক্সে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে এক ব্যবসায়ী নিহত ও অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। এদিকে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ও গাজীপুর সদরের শিমুলতলী এলাকাতেও একই দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
জানা গেছে, দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা লাঠিসোটা নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা ও পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। তারা মাওনা উড়াল সেতু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে অবস্থান নেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ফিরে এসে তাদের ধাওয়া দিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পুলিশের তিনটি গাড়ি ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় ও উড়াল সেতুর নিচে হাইওয়ে পুলিশের দুটি বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি থেকে জৈনা বাজার পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ বাধা দিলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়। একপর্যায়ে দুপুরে পুলিশ শটগানের গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। এ সময় মাওনা চৌরাস্তা এলাকার লেপতোষকের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নিহত হন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, আন্দোলকারীরা হঠাৎ পুলিশের ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের তিনটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা উড়াল সেতুর নিচে হাইওয়ে পুলিশের দুটি বক্সে আগুন দেয়।