সাভারে ৫ পোশাক কারখানায় আগুন
সাভারের আশুলিয়ায় পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানায় আগুন এবং প্রেসক্লাব ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোবার (৪ আগস্ট) রাত ৯টা পর্যন্ত সেখানে বাধার মুখে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপণ দল পৌঁছাতে না পারায় আগুন জ্বলছে।
এ সময় আশুলিয়া থানায় হামলা, সাভার ও আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাঙচুরসহ অন্তত ছয়টি যানবাহনেও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
এসব ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, লাঠিচার্জ রাবার বুলেট ও কাঁদানো নিক্ষেপে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত এবং অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছে।
সন্ধ্যায় আশুলিয়ার জিরানি এলাকায় সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো সিনথেটিকস লিমিটেড, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় হামিম গ্রুপের স্থাপনা ও বেঙ্গলসহ পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগের খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ৩০ জন। গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এক পর্যায়ে হামলা চালানো হয় আশুলিয়া প্রেসক্লাবে। সংবাদকর্মীদের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর হামলা চালানো হয় আশুলিয়া থানায়। ভাঙচুর করা হয় সিসিটিভি ক্যামেরা। থানায় ছোঁড়া ইটপাটকেলের জবাবে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়লে আহত হয় অন্তত ২০ জন। এ সময় আশুলিয়া থানার সামনে থাকা অন্তত পাঁচটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা থানায় হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। আমরা তাদের প্রতিহত করেছি।’
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘আশুলিয়ায় অন্তত পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছি।
এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে যেতে চাইলে তাদের ওপরও হামলার চেষ্টা করা হয়। আন্দোলনকারীদের বাধায় আমরা আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারিনি।’