ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছয় মাসের সাজা বাতিল
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া ছয় মাসের সাজা বাতিল করেছে কাকরাইলের শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সেসময় প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে আপিলের শর্তে ড. ইউনূসসহ আসামিদের এক মাসের জামিন দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। একই বছরের ২২ আগস্ট শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। সবশেষ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর শুনানি শেষ হয়। সাজার পর থেকে মামলাটিতে জামিনে ছিলেন ড. ইউনূস।
গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে দেশে কার্যত কোনো সরকার নেই। ফলে ঢাকাসহ সারা দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে।
এর মধ্যে গত মঙ্গলবার বঙ্গভবনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সদস্যের দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি। পরে বঙ্গভবন প্রেস উইং জানায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে অন্যদের নাম জানানো হবে।
ইউনূস সেন্টার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার ঢাকা পৌঁছাবেন। ধারণা করা হচ্ছে, এরপরই তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেবেন।