ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে তারেক রহমানের স্ট্যাটাস
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার সরকারের উপদেষ্টাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বাংলাদেশ সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিনগত রাত ১২টা ১২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ অভিনন্দন জানান তারেক রহমান।
অভিনন্দন বার্তায় তারেক রহমান লেখেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার সহযোগী উপদেষ্টাদের অভিনন্দন। যদি পেছনে ফিরে তাকাই গত ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক অধিকার লঙ্ঘন ও অবিচারের সম্মুখীন হওয়ার পর এই মুহূর্তটি এসেছে। আমাদের সাহসী ছাত্র-শিক্ষক, কর্মী, রিকশাচালক থেকে শুরু করে গৃহিণী, সাধারণ নাগরিক ও রাজনৈতিক কর্মী—সমস্ত গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ ব্যাপকভাবে কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘এই বিক্ষোভ শুধু কোটা সংস্কার নিয়ে নয়, নজিরবিহীন দুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন-পীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান। আওয়ামী লীগের শাসনামলে অন্যায়ের মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল।’
নতুন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সেই শাসনের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণ অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্বাধীনভাবে ভোটাধিকারের প্রত্যাশা করে যেন তারা তাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারে।’
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে বিএনপির অবস্থা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি পাবলিক ম্যান্ডেটসহ একটি নির্বাচিত সরকার গঠন এবং জনগণের সেবা করে এমন একটি জবাবদিহিতামূলক সংসদ, জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার এবং এর ফলে আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, ক্ষুদ্রঋণের প্রবক্তা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ নেন।
ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাদের মধ্যে শপথ নিয়েছেন—ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, এ এফ হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদা আখতার, আ ফ ম খালিদ হাসান, নূরজাহান বেগম, শারমিন মুরশিদ এবং মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপতি তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে থাকায় ডা. বিধানরঞ্জন রায় পোদ্দার, ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক, সুপ্রদীপ চাকমা পরবর্তীতে শপথ নেবেন।