এনটিভির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন, মোসাদ্দেক আলী চেয়ারম্যান, আশফাক উদ্দিন এমডি
দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বেসরকারি টেলিভিশন ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেল লি. (এনটিভি) এর পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। নতুন করে গঠিত পরিচালনা পর্ষদে মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলীকে চেয়ারম্যান এবং মো. আশফাক উদ্দিন আহমেদকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন বোর্ডকে অভিনন্দন জানিয়েছে এনটিভি পরিবার।
আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে বোর্ড সভায় নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়। নবগঠিত পর্ষদে ছয়জন পরিচালক হলেন-মাহবুবা সুলতানা, নুরুদ্দীন আহমেদ, সৈয়দা শামিলা তাবাসসুম, আকলিমা বিলকিস, মো. মোস্তফা সারোয়ার, ও মো. শহীদুল হক। এ ছাড়া পরিচালক পদ থেকে বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ ইউনুছ। একনজরে পরিচালনা পর্ষদ :
মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী, চেয়ারম্যান
মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেল লি. (এনটিভি)-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ইতিবাচক রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজসংস্কার ও সংস্কৃতিরক্ষার নিরলসকর্মী তিনি। ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবেও। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে রয়েছে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান। বিমা খাতের যুগান্তকারী কিছু প্রকল্পে তিনি অর্থায়ন করেছেন। নতুন নতুন এবং সম্ভাবনাময় শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে আন্তসম্পর্ক তৈরিতে রয়েছে তাঁর বিশাল অবদান। পথশিশুদের লালন-পালন, উন্নয়নসহ সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। এই পথপরিক্রমায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সাভার আব্দুল মান্নান ডিগ্রি কলেজ ও খালেদা জিয়া ওল্ড হোম।
মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলীর জন্ম বাংলাদেশের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে, ১৯৬০ সালের ৭ এপ্রিল। পড়াশোনা করেছেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় সিকিউরিটিজ কোম্পানি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। এরপর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় তিনি আরো অনেক শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সাথে সাথে তিনি ঢাকা-সাংহাই সিরামিকস, এমএএইচ সিকিউরিটিজ, রোজা প্রপার্টিজ, রোজা ইন্ডাস্ট্রিয়াল, রোজা অ্যাগ্রো, কক্সবাজারের দ্য কক্স টুডে লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে দেশের বেসরকারি খাতের অন্যতম বড় আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন তিনি। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যক্রমে বহু দেশে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
সিরামিকস শিল্পে চীনের সাথে তাঁর যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে। ব্যবসা ও বিনিয়োগে সব সময়ই সৃজনশীলতা আর দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন মোসাদ্দেক আলী। আর এ অগ্রযাত্রায় তিনি ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, বেল কন্সট্রাকশন, রাকিন ডেভেলপমেন্ট, স্টার পোরসেলিন প্রাইভেট লিমিটেড, এসএম আবাসন লিমিটেড এবং আশালয় হাউজিং লিমিটেডের ডিরেক্টর পদে আসীন হন। পরবর্তীকালে তিনি ব্রাদারহুড এন্টারপ্রাইজ, ব্রাদারহুড সিকিউরিটিজ, ব্রিলট্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্রিলট্রেড, ব্রিলট্রেড কালার কোট লিমিটেডের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেন। সমাজসেবায় অনন্য ভূমিকায় তিনি শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের ভাইস চেয়ারমান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের সম্প্রচার খাতেও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয় তাঁর হাত ধরেই। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন অত্যন্ত ডায়নামিক একটি টেলিভিশন ব্রডকাস্টিং কোম্পানি।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ও বিনিয়োগকারী মোসাদ্দেক আলী। ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেল লিমিটেড বা এনটিভি ছাড়াও দেশের মানুষের জন্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও চিত্তবিনোদনের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন আরটিভি। এ ছাড়া দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা আমার দেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং আমার দেশ পাবলিকেশন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
ডিজিটাল এই যুগে সব ধরনের পাঠক যাতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইলফোন কিংবা স্মার্টফোন থেকে তাৎক্ষণিক খবর, ভিডিও, ছবি দেখতে পারে সে জন্য এনটিভির যুগপূর্তিতে এনেছেন এনটিভি অনলাইন।
খেলাধুলার উন্নয়নেও সব সময় সচেষ্ট মোসাদ্দেক আলী। দেশের তরুণ ও পেশাদার খেলোয়াড়দের জন্য বিশ্বমানের পরিবেশ তৈরিতে ক্রীড়াজগতে তিনি রেখেছেন বিশেষ অবদান। সবচেয়ে পুরোনো ও জনপ্রিয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন দীর্ঘদিন। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য। এ ছাড়া কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, রাইফেলস ক্লাব, ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব ও অল কমিউনিটি ক্লাবের সদস্য তিনি। অবসরে মোসাদ্দেক আলী বই পড়েন ও লেখালেখি করেন। তাঁর লেখা বইয়ের মধ্যে রয়েছে পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে মানবজীবন, বাংলাদেশ ইন ডেভেলপমেন্ট, প্রসপারাস বাংলাদেশ ইত্যাদি। এ ছাড়া বাংলা উচ্চারণ এবং বাংলা ও ইংরেজি অর্থসহ ৩০ খণ্ডে ৩০ পারা কোরআন শরিফের প্রকাশক তিনি।
মো. আশফাক উদ্দিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক
মো. আশফাক উদ্দিন আহমেদ লন্ডনের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন। ১৯৮৬ সালের ৮ মার্চ জন্ম নেওয়া এই তরুণ ব্যবসায় যুক্ত হয়ে এরই মধ্যে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি পোশাক শিল্প ডং বাং ফ্যাসিলিটিজ বিডি লিমিটেডের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া এমএএইচ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা সাংহাই সিরামিকস লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান, পিপলস সিটি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, রোজা প্রোপার্টিজ লিমিটেড, দ্য কক্স টুডে লিমিটেডের পরিচালক, ইউনিয়ন ইন্সুরেন্স লিমিটেডের পরিচালক, আইটি সেক্টরের এম এস ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ এন্ড আইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এনটিভি অনলাইনের প্রকাশক। এ ছাড়া টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন 'অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্স-অ্যাটকোর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মাহবুবা সুলতানা, পরিচালক
বাংলাদেশের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬৭ সালে জন্ম মাহবুবা সুলতানার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন। ঘুরেছেন বিশ্বের বহু দেশ। এনটিভি ছাড়াও তিনি রোজা অ্যাগ্রো লিমিটেড এবং এমএএইচ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক।
নুরুদ্দীন আহমেদ, পরিচালক
নুরুদ্দীন আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবী। জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৫ আগস্ট। দেশের শিল্প খাতে রয়েছে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন পাঁচবার। যুক্ত আছেন ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে।
সৈয়দা শামিলা তাবাসসুম, পরিচালক
সৈয়দা শামিলা তাবাসসুম পড়াশুনা করেছেন ইংরেজি সাহিত্যে। তবে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ব্যবসা। আপন দক্ষতায় অল্প সময়েই পৌঁছেছেন সাফল্যের চূড়ায়। ১৯৭৩ সালের ২৩ আগস্ট মাসে জন্ম নেওয়া সৈয়দা শামিলা তাবাসসুম বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে বিশ্বমানে উন্নীত করার স্বপ্ন দেখেন।
আকলিমা বিলকিস, পরিচালক
ব্যবসায়ে সফল নারীদের মধ্যে অন্যতম আকলিমা বিলকিস। তাঁর জন্ম ১৯৬২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। দেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তিনি যুক্ত হয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেল লিমিটেডের সঙ্গে।
মো. মোস্তফা সারোয়ার, পরিচালক
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের বাসিন্দা মো. মোস্তফা সারোয়ারের জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সালে। স্নাতক শেষে ব্যবসায় যুক্ত হন। সততা, সৃজনশীলতা আর অসাধারণ দক্ষতায় অল্প সময়েই লাভ করেন ঈর্ষণীয় সাফল্য। তিনি হোটেল ব্যবসার সঙ্গেও সম্পৃক্ত।
মো. শহীদুল হক, পরিচালক
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। ঢাকার বাসিন্দা। জন্ম ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০। গণমাধ্যমের প্রতি রয়েছে তার বিশেষ আগ্রহ। নীতিভিত্তিক পেশাদার সংবাদমাধ্যম তৈরির জন্য নিরলস কাজ করে চলেছেন। তিনি অটোমোবাইল ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন।
‘সময়ের সাথে আগামীর পথে’ এনটিভির যাত্রা
‘সময়ের সাথে আগামীর পথে’ এই স্লোগানে বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতিকে ধারণ করে ৩ জুলাই ২০০৩ সালে মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী প্রতিষ্ঠা করেন দেশের প্রথম অটোমেশন-ভিত্তিক যুগোপযোগী বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেল লি. (এনটিভি)।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বাংলাদেশ। সুখী, সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে বাংলার আপামর জনসাধারণ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। ৩০ লাখ প্রাণ, বহু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকা। দেশের দিগন্তে উদিত হয়েছে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। তবে দেশ গড়ার সংগ্রাম চলছে এখনো। আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের দেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজন সমাজের চিন্তা, তথ্য, মত ও আলোচনা-সমালোচনার অবাধ প্রবাহ। প্রয়োজন নীতিভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক ও সর্বোচ্চ মানের পেশাদারি সাংবাদিকতা। দেশের সেই সংগ্রামের সারথী হতে এনটিভি অঙ্গীকারবদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে এনটিভি একঝাঁক তরুণ নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে কোটি দর্শকের কাছে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও মানসম্মত অনুষ্ঠান তুলে ধরছে। আদর্শ, নীতি, সর্বোচ্চ পেশাদারত্বকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা প্রচার করি সংবাদ ও অনুষ্ঠান। নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এনটিভির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আমরা পক্ষপাতহীন সংবাদ ও অনুষ্ঠানে বিশ্বাসী।
শুধু সংবাদ নয়, সমসাময়িক ঘটনা, আলোচনা অনুষ্ঠান, প্রামাণ্যচিত্র, খেলাধুলার খবর, ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির খবর এনটিভি সম্প্রচার করে আসছে। এনটিভি প্রতিদিন ভিন্নধর্মী বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে নির্মিত এনটিভির নাটক, টেলিফিল্ম, সংগীতানুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, কেরাতপ্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান, কুইজ ও ভ্রমণবিষয়ক শো ব্যাপক জনপ্রিয়। ঈদ উৎসব, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসের মতো বছরের বিশেষ দিনে ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান দর্শকদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করে এনটিভি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সাড়া জাগানো রিয়েলিটি শো ক্লোজআপ ওয়ান এনটিভিতে সম্প্রচারিত হয়। ওই সময় মানুষের মুখেমুখে ছিল ক্লোজআপ তারকাদের গান। এছাড়া মার্কস অলরাউন্ডার, সুপারহিরো সুপারহিরোইন, বিজিদেরইজিশো, হা-শো ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। মানুষের অপার আগ্রহ আর আস্থা-ভালোবাসায় খুব দ্রুতই এনটিভি পরিণত হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যেমন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বে সম্প্রচারিত হয় এনটিভি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দর্শকদের আশা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এনটিভি।