অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন ১৯৮ বিশ্বনেতা
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন ১৯৮ জন বিশ্বনেতা। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ ৯২ জন নোবেলজয়ী রয়েছেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের নেতারা এ তালিকায় রয়েছেন।
বিশ্ব নেতাদের সমর্থন দেওয়া সংক্রান্ত বিবৃতিটি গতকাল বুধবার অনলাইনে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পুরো পৃষ্ঠাজুড়ে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিটির শিরোনাম : ‘বাংলাদেশের জনগণ ও সারা বিশ্বের শুভবুদ্ধির নাগরিকদের জন্য একটি বার্তা।’
বিবৃতিতে সই করা ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন শান্তি, অর্থনীতি, সাহিত্য, চিকিৎসা, রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী ৯২ জন। তাদের মধ্যে অন্যতম বারাক ওবামা, শিরিন এবাদি, হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস, রামোস-হোর্তা, মার্টিন কার্প্লাস, জোসেফ স্টিগলিৎজ, হার্টা মুলার, চার্লস রাইস, হিরোশি আমানো প্রমুখ।
বিবৃতি দেওয়া অন্য বিশ্বনেতাদের মধ্যে আছেন নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রো ব্রুন্ডল্যান্ড, রোমানিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এমিল কনস্টান্টিনেস্কু, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, বিশ্বব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাটস কার্লসন, ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, মার্কিন রাজনীতিক টেড কেনেডি জুনিয়র প্রমুখ।
বিবৃতিতে ইউনূস ও বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্ব নেতারা বলেন, তারা বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে পেরে উচ্ছ্বসিত।
বাংলাদেশের সাফল্য কামনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বছরের পর বছর ধরে অধ্যাপক ইউনূসকে সমর্থন দিতে পেরে গর্বিত। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি উত্তেজনাপূর্ণ নতুন ভোরের সূচনা। আমরা আগামী মাস ও বছরগুলোতে তার এবং বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সাফল্য কামনা করি।
বিশ্ব নেতারা বলেন, আমরা অধ্যাপক ইউনূসকে শেষ পর্যন্ত পুরো দেশের, বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে কাজ করার জন্য মুক্ত হতে দেখে উচ্ছ্বসিত। এই কাজ তিনি ছয় দশক ধরে অত্যন্ত জোরেশোরে ও সাফল্যের সঙ্গে করে আসছেন। তারা বলেন, দেশের তরুণেরা যেমন ড. ইউনূসকে অনুপ্রাণিত করেছে, তেমনি আমরা জানি, তিনি তাদের বাংলাদেশের নতুন এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে নেতৃত্বের ভূমিকায় আসতে অনুপ্রাণিত করবেন।
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ফিরিয়ে আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি ও গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটতে দেওয়ার অঙ্গীকারকে তারা সাধুবাদ জানান।
অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনো উপায়ে সাহায্য করতে প্রস্তুত আছেন জানিয়ে বিবৃতিদাতারা বলেন, একটি নতুন ও উন্নত সভ্যতা বিনির্মাণে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিয়ে যেতে আমরা যেকোনো উপায়ে সাহায্য করতে প্রস্তুত। কারণ, এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বারবার আমাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।