ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের পূর্ণাঙ্গ তালিকার পর শহীদ স্মরণসভা হবে : তথ্য উপদেষ্টা
জুলাই ও আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করার পর শহীদ স্মরণসভা করবে সরকার। প্রতিটি জেলা থেকে শহীদের তালিকা পাঠাতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তালিকা হওয়ার পর স্মরণসভার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য দেন।
উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শহীদদের যে তালিকা করছে, সেটার ওপর ভিত্তি করেই স্মরণসভা হবে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বা আশপাশের একটা দিন সেটার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা ছিল। তালিকা তৈরির কাজ যেহেতু চলছে, সেহেতু ১৪ সেপ্টেম্বর স্মরণসভা করা হচ্ছে না। তালিকা চূড়ান্ত হলে সেটার ওপর ভিত্তি করে স্মরণসভার আয়োজন করব।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ৭২৮ জনের তালিকা এসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে। তাদের ঠিকানা খুঁজে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আর ২০ হাজার ২৬৩ জন আহত হয়েছেন। বেসরকারি বিভিন্ন সূত্র অনুসারে, ৮০০ জন শহীদের একটা তালিকা আছে, যেটার সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসকদেরও তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী রোববারের মধ্যে একটি চূড়ান্ত তালিকা হয়তো পাব।
উপদেষ্টা বলেন, শহীদ স্মরণসভার বাজেট নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে কিছু কথা উঠেছে, এটা আসলে একটা বিভ্রান্তি হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের জন্য পাঁচ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছে। তার মানে এ নয় যে এখানে সেটাই খরচ হবে। বেশির ভাগ খরচ মূলত ৬৪ জেলা থেকে শহীদ পরিবার সদস্যদের ঢাকায় নিয়ে এসে এক রাত থাকার ব্যবস্থা করাতে ব্যয় হবে। এখানে কোনো অতিরিক্ত খরচের সুযোগ নেই। আর এটা রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি। আমরা চেয়েছিলাম, সব শহীদ পরিবারকে এক জায়গায় করা এবং তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়ার আছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়ার বিষয়ও আছে। সেটা খুবই দ্রুত হবে।