গোপালগঞ্জে বিএনপির ওপর হামলায় আ.লীগ জড়িত নয় : দপ্তর সম্পাদক
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ঘোড়পাড়ায় বিএনপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগ জড়িত নয়। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘোনাপাড়ায় ১৩ সেপ্টেম্বর যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে এটার সঙ্গে আওয়ামী লীগ কোনভাবেই জড়িত নয়। কিছু বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে বিএনপির কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সেটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। এই ঘটনা স্থানীয় আওয়ামী লীগ সহ কোন সহযোগী অঙ্গসংগঠন অবগত নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আওয়ামী লীগ সব সময় শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থানে বিশ্বাসী। অতীতে আমরা বিএনপির সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে ছিলাম। যেটা বিএনপির স্থানীয় নেতারা স্বীকার করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার দিন বিএনপির কিছু বহিরাগত লোকেরা ঘোনাপাড়ায় শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি, ব্যানার ছিড়ে ফেলতে গেলে তাদের সঙ্গে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আমরা মনে করি এই ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত থাকার কথা বলা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক চক্রান্ত। এই ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ কোন অবস্থায় জড়িত নয়। আমরা অতীতে যেমন অহিংস আন্দোলন করেছি, ভবিষ্যতেও শান্তিপূর্ণভাবে সকল কর্মসূচি পালন করবো।
এটাই আমাদের দলীয় নির্দেশনা বলে জানান দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় গোপালগঞ্জের বেদগ্রামে পথসভা শেষ করে গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী। বিএনপির অভিযোগ, ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী তাদের গাড়ির গতিরোধ করে ভাঙচুর করে বেশ কয়েকটি গাড়ি।
এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠি-সোটা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিলে পিছু হটে তারা। ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে মারপিটের শিকার হন সময় টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিক এইচ এম মানিক। এর কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা সংঘটিত হয়ে আবারও হামলা চালায়। এ সময় বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না ও তাদের সন্তানসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থানীয় অন্তত ৩৫ জন নেতাকর্মীকে।
এই ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলের থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের পাশে চরপাথালিয়া এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।