খাগড়াছড়িতে সমাবেশকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, অগ্নি সংযোগ
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে খাগড়াছড়ির মামুন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এর জেরে পাহাড়ি-বাঙালি দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলটি কলেজ গেট এলাকায় এসে সমাবেশ করে। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পাহাড়ি-বাঙালি দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এ সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলির শব্দ শোনার কথাও জানায় স্থানীয়রা। একপর্যায়ে লারমা স্কোয়ার এলাকায় দোকানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার জন্য পাহাড়ি-বাঙালি পরস্পরকে দায়ী করেছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে পাহাড়ি-বাঙালি উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে যায়।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশিদ জানান, এ ঘটনায় পাঁচ জন আহত হয়েছে। আগুনে ৬০টি দোকান সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
আগুন দেখে লোকজন ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তাবাহিনী জানিয়েছে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছ। গুজবে কান না দেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার খাগড়াছড়ি সদরের নোয়াপাড়া এলাকায় মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আজ দীঘিনালা সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই মিছিল বের করে।