ডিসেম্বর মধ্যে গোমতীর বুড়বুড়িয়া বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণ হবে : রিজওয়ানা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কুমিল্লায় গোমতী নদীর ভেঙে যাওয়া বুড়বুড়িয়া বেড়িবাঁধটি পুনর্নির্মাণ করা হবে।
আজ রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বুড়িচংয়ে ভেঙে যাওয়া বুড়বুড়িয়া বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন এই উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা ভারতকে উদ্দেশ করে বলেন, এখানে বৃষ্টিপাত বাড়ছে, কিছুক্ষণের মধ্যে বাঁধগুলো খুলে দেব। তোমরা প্রস্তুতি নাও। এটুকু জানাতে তো আপত্তি থাকার কোনো কারণ নেই। সেজন্য আমরা ক্ষতিগুলোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ক্ষতিগুলোর এখন একটা হিসাব হয়ে গেছে। এখন অবশ্যই আমরা ভারতের সঙ্গে এই বিষয়টা তুলব।
ভারতের অভ্যন্তরে বাঁধ দেওয়া নদীগুলোতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাঁধ দেওয়ার একটি দাবি উঠেছে। সেটি কীভাবে দেখছে সরকার—এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, বাঁধের পালটা বাঁধ। এগুলো হচ্ছে মানুষের মনের ক্ষোভের কথা। বাঁধের পাল্টা বাঁধ তো প্রযুক্তিগতভাবেও ঠিক হবে না। আমার দেশের তিস্তাপারের মানুষ কত দিন আর বসে থাকবে? আমরা তো অনেক দিন হয়ে গেল পেলাম না কোনো চুক্তি। সেটার বিষয়ে আমরা গোমতী, তিস্তা, মুহুরী ও ফেনী নদীপারের মানুষের কথা শুনে আলোচনা করব।
নদী দখলের বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা কি ভ্রান্ত ধারণার মধ্যে থাকি। মনেকরি বিল্ডিং হলেও উন্নয়ন হয়েছে। ঢাকার বুড়িগঙ্গায় ২০০০-এর বেশি স্থাপনা ভাঙা হয়েছে। ভাঙতে চাইলে ভাঙা যায়। নদীর উপর স্থাপনা করার কারও তো কোনো আইনগত অধিকার নেই। নদীর উপর স্থাপনা করার অনুমতি দেওয়ার রাইট সরকারের নেই। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যেমন স্থাপনা করার অধিকার নেই, সরকারেরও তাদের স্থাপনা করার অনুমতি দেওয়ার নিয়ম নেই। নদীরক্ষা কমিশনের কাছে ৬৬ হাজার দখলদারের তালিকা আছে। আমি বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে মিটিং করেছি। বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুই মাসের মধ্যে দেশের সব নদ-নদী ওই ৬৬ হাজার দখলদারের হাত থেকে কেমন করে নদীকে বাঁচাবে? কেমন করে দখলগুলো ভাঙবে? দুই মাসের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা দিন। বিভাগীয় কমিশনাররা জেলা প্রশাসককে বলবেন এবং সেগুলো ভাঙার কাজ শুরু হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. আমিরুল হক ভুঁইয়া, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ড পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান প্রকৌশলী আবু তাহের, কুমিল্লা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান প্রমুখ।