‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভে’ দেশের গণ-অভ্যুত্থান তুলে ধরলেন ড. ইউনূস
ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অনুষ্ঠানে গণ-অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা জুলাই বিপ্লব চলাকালীন এবং এরপরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রের ছবি সংবলিত ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ শীর্ষক আর্টবুক বিল ক্লিনটনকে উপহার দেন। পরে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভে বক্তব্য দেন ড. ইউনূস। সেখানে দেশে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের গল্প তুলে ধরেন ড. ইউনূস।
এর আগে সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। সংক্ষিপ্ত বৈঠকে বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্ক জোরদার, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
বৈঠকে সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পাশে থাকবে কানাডা।
এ সময় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিগত সরকার নানাভাবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। বৈঠকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডায় আরও বেশি ভিসা দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বাংলাদেশ সরকারকে ‘পূর্ণ সমর্থনের’ কথা জানিয়েছেন বাইডেন। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করা হয়।
এতে বলা হয়, বৈঠকে ড. ইউনূস বিগত সরকারের আমলে সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা জো বাইডেনকে জানান। অধ্যাপক ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, দেশ পুনর্গঠনে তার সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে।
এ সময় যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
পরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।