আশুলিয়ায় ১৯ পোশাক কারখানা বন্ধ, শ্রমিকদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি পূরণের যৌথ ঘোষণা পর ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার শ্রম পরিস্থিতি। অধিকাংশ কারখানা উৎপাদন ফিরেছে। তবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক দুই সংসদ সদস্যের মালিকানাধীন দুটি কারখানাসহ ১৯টি কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে।
এসব কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে এবার নতুন করে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ। বন্ধ কারখানা ঘিরে তৈরি হচ্ছে বিক্ষিপ্ত নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ আশুলিয়া জোনের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলম।
টঙ্গাবাড়ী মাতবার বাড়ি এলাকায় ‘কাজ নেই, বেতন নেই’—শ্রম আইনের ১৩(১) ধারার বন্ধ রয়েছে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোমিন মন্ডলের মালিকানাধীন মন্ডল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মন্ডল ফ্যাশন লিমিটেড।
সকালে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মন্ডল গ্রুপের শ্রমিকরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে বের হলে শিল্পাঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে দ্রুত যৌথ বাহিনী মোতায়ন করা হয়।
অন্যদিকে জামগড়ায় খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর মালিকানাধীন এনভয় গ্রুপের কারখানাসহ বন্ধ রয়েছে ১৯টি কারখানা।
সকালে পলাশবাড়ী এলাকায় ডংলিওন নামের তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয় কমপক্ষে ১০ জন, তাদের মধ্যে তিনজনকে স্থানীয় হাবিব ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই প্রতিষ্ঠানে মালিক পক্ষের আশীর্বাদ পুষ্ট শ্রমিক প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাতিল করে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে শ্রমিক প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন তৈরির দাবিতে দুই পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাঁধে।
শিল্প পুলিশ বলেছে, যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে শিল্পাঞ্চল ঘিরে রয়েছে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে পুলিশ, আর্ম পুলিশ, শিল্প পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের তৎপরতা।