সরকারি চাকরিতে প্রবেশের যৌক্তিক বয়সসীমা নির্ধারণে কমিটি
সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে এ ব্যাপারে সুপারিশ করতে একটি কমিটি গঠন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
মো. মোখলেস উর রহমান জানান, কমিটির প্রধান করা হয়েছে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন দিতে বলা বলা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার বিষয়ে আন্দোলন ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই কমিটি করা হয়েছে বলে জানান সিনিয়র সচিব।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবি দীর্ঘদিনের। এই দাবিতে আন্দোলনও চালিয়ে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপর এই আন্দোলন আবার জোরদার করা হয়।
সরকার এ ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও আন্দোলন অব্যাহত রাখেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজ সোমবারও চাকরির বয়স বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরতরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে চাকরিতে প্রবেশের সাধারণত সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। আর অবসরে যাওয়ার বয়সসীমা ৫৯ বছর। চাকরিপ্রত্যাশীরা সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়ে আসছেন। এক্ষেত্রে চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমাও বাড়বে।