গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনা হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, যারা আহত হয়েছেন বিশেষত যারা চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন, দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, পায়ে আঘাত পেয়েছেন, অঙ্গহানি হয়েছে, তাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে ডাক্তারদের মেডিকেল টিম এনে চিকিৎসার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে চীনের এডভান্স মেডিকেল টীম বাংলাদেশে এসেছেন। তারা হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করে চিকিৎসায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত চক্ষু রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য সেবা ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে নেপাল হতে ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ও ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এসেছেন। এ ছাড়া ফ্রান্সের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও আসছেন। যুক্তরাজ্য হতে অর্থোপেডিক ডাক্তার চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে আসবেন। নেপাল হতে আগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎকগণ জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মোট ১৯২ জন চক্ষু রোগীকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন এবং চার জন জটিল রোগীর অপারেশন সম্পন্ন করেন। আহত রেটিনা রোগীদের রেটিনার অস্ত্রোপচার শেষ হলে প্রায় ছয় মাস পর কর্নিয়া অপারেশনের প্রয়োজন পড়তে পারে। কর্নিয়া সরবরাহে সেবা ফাউন্ডেশন সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
ছাত্র জনতার অভ্যূত্থানে দেশের বিভিন্ন স্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশে নীতিমালা প্রনয়ণ এবং শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিচিতিসহ একটি পূর্ণঙ্গ তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা এবং আহত-নিহতদের একটা প্রাথমিক তালিকা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছেন জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রস্তুতকৃত তালিকা সর্বসাধারণের যাচাইয়ের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে ডাটাবেইজ তৈরির সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সারাদেশে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত মোট শহীদের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৭৩৭ জন এবং আহতের সংখ্যা ২২ হাজার ৯০৭ জন। এ ছাড়া সারা দেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনও একটি তালিকা সংগ্রহ করে আমাদের কাছে দিয়েছে। আমরা সবগুলো পর্যালোচনা করে দেখছি।