এলাকার কেউ বলতে পারবে না বিএনপির নেতাকর্মীকে হয়রানি করেছি : ফারুক খান
বিএনপিকর্মী হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খানের দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যা এই আদেশ দেন।
ঢাকার সিএমএম আদালতে আজ দুই বছর আগে বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের সময় গুলিতে মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনসহ ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাচান। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন বিচারক রিমান্ড শুনানিতে ফারুক খানকে প্রশ্ন করেন তিনি কিছু বলবেন কি না? ফারুক খান বলেন, মাননীয় আদালত, আপনাকে ধন্যবাদ আমাকে কিছু বলতে দেওয়ার জন্য। আমি এ অভিযোগের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত না। আমি এর কিছুই জানি না। আমি জীবনের প্রথম আদালতে এসেছি। তিনি বলেন, আমার এলাকায় কেউ বলতে পারবে না—আমি কোনো বিএনপির নেতাকর্মীকে হয়রানি করেছি। আমি অসুস্থ, হাসপাতালে ছিলাম; সেখান থেকে আমাকে নিয়ে আসা হয়েছে। আমার পায়ে রড লাগানো আছে। আমি অসুস্থ আমাকে জামিন দিন।
এর আগে গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সিএমএইচ এলাকা থেকে র্যাব-১-এর মেজর আবীরের নেতৃত্বে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনকে আসামি করে করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর একদফা দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এর আগে ৭ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশের হারুন অর রশীদ, মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে অভিযান চালায়। কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ের পাশে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এতে মকবুল হোসেন নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় মাহফুজুর রহমান বাদি হয়ে মামলা করেন।